শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোসাররফ হোসেন বলেন, কক্সবাজারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে। কক্সবাজার দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষনীয় স্থান। সকলের সহযোগিতায় কক্সবাজারকে সঠিকভাবে সাজাতে হবে। একই সাথে কক্সবাজারের মানুষদেরকেও চিন্তা চেতনা পাল্টাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের স্বাধীনতা দিতে হবে। আমার বিশ্বাস কক্সবাজারের মানুষ এখন পর্যটক বান্ধব। পর্যটকদের সুবিধার জন্য তারা যে কোন সময় ভাল কিছু দিতে প্রস্তুত। তাই কক্সবাজারকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়তে চাই।
১৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়াম্যান লেঃ কর্ণেল(অবঃ) ফোরকান আহমেদের দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল(অবঃ) ফোরকান আহমেদ বলেন,কক্সবাজারকে আধুনিক পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়তে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ঘুষ দুনীর্তি আমাকে গায়েল করতে পারেনি এই পর্যন্ত, শেষ বয়সে এসেও পারবেনা এটি আমার বিশ্বাস। সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করবো। কক্সবাজারকে সাজাতে হলে সকলের সমন্বয় থাকা দরকার।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোশারফ আরো বলেন, হোটেল মোটেলের বেশিরভাগ পয়ঃ নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নাজুক। এপরিস্থির আরো উন্নত করতে হবে। যেমন তাদের বজ্য ও পয়ঃনিষ্কাশনের সকল ময়লা সাগরে গিয়ে পড়ছে। এতে সাগরের পনি দুষিত হচ্ছে।
কউক এর কর্মকান্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, কক্সবাজারকে পরিবেশ বান্ধবভাবে করে গড়ে তুলতে ভুমিকা রাখবে কউক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, সংসদ সদস্য সাইমুম সওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, নারী সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহাম্মদ চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. শাহাজান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কর্মকর্তা ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: